যৌতুকের আগুনে দগ্ধ স্বর্ণা, পুড়ে গেছে শরীরের ৬০ ভাগ

জামালপুর সংবাদদাতা: যৌতুকের দাবিকে ঘুমন্ত স্ত্রীর শরীরে গরম তেল ঢেলে হত্যার চেষ্টা করেছে এক পাষণ্ড স্বামী। ওই দগ্ধ ওই নারীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়েছে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

দগ্ধ গৃহবধূ স্বর্ণা বেগমকে (৩৫)। তিনি সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা বাজার এলাকার সেজনু মিয়ার (৪০) স্ত্রী। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর সাভার থানার জিরানী (টিকনিবাজার) এলাকায় ভিকটিমের ভাড়াবাসায় এ ঘটনা ঘটে।

স্বর্ণা বেগমের মা শিরিনা বেগম অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই তার জামাই মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছিল। এ ব্যাপারে ইতোপূর্বে আদালতে মামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিমাংসা করে মেয়েকে জামাইয়ের কাছে পাঠানো হয়। পুনরায় তাঁকে নির্যাতন শুরু করা হলে স্বর্ণা বেগম বাধ্য হয়ে সাভারের জিরানী এলাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। মেয়ের ভাড়াবাসার ঠিকানা সংগ্রহ করে শুক্রবার বিকেলে সেজনু মিয়া সেখানে যান। তারপর ঘুমন্ত অবস্থায় সে তার স্ত্রীর শরীরে গরম তেল ঢেলে দেয়। এতে তাঁর পুরো শরীর ঝলসে যায়।

স্বর্ণা বেগম জানান, স্বামী সেজনু রাতেই তাঁকে জিরানী থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। শনিবার সকালে তাঁকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাহমিদা জামাল তিথী জানান, গরম তেলে ঝলসে যাওয়া নারী স্বর্ণা বেগমকে কিছু লোক হাসপাতালে আনে। এরপর আমরা প্রাথমিকভাবে তাঁর চিকিৎসা দেই। গরম তেলে তাঁর যৌনাঙ্গসহ শরীরের অন্তত ৬০ ভাগ ঝলসে গেছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মীর রকিবুল হক বলেন, ঘটনাটি যেহেতু সাভার এলাকায় ঘটেছে, তাই হয়তো এখন পর্যন্ত কিছু জানি না। বিষয়টি খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

ইউকে/এএস