নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহীতে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দেশে করোনার উচ্চ সংক্রমণের পর এই হাসপাতালে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে রোববার (৩০ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই ১২ জন মারা যান।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত ১২ জনের মধ্যে করোনা হটস্পট চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭ জন। এছাড়া রাজশাহীর দুই জন, নওগাঁর দুই জন ও নাটোরের একজন রয়েছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে ১২ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণে। এ ছাড়া সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্য পাঁচজন।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুর পর সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক আরও জানান, রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে রামেক হাসপাতালে এসেছেন ২০৯ জন। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৫ জনের শরীরে। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে বাকি ১৩৪ জনের।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ১২ জন হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর থেকে শনিবার (২৯ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। ফলে তাদের নাম করোনায় মৃত এই তালিকায় ওঠেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপদেষ্টা কমিটি দেশের সীমান্তবর্তী আরও ৭ জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছে। জেলাগুলো হলো- সাতক্ষীরা, নাটোর, নওগাঁ, রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া ও যশোর।
ইউকে/এসই/এসএম