বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে কঠোর আইন অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। দেশটিতে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল এবং জরিমানা গুণতে হবে ২২ লাখ ৭২ হাজার ৬৬ টাকা (এক লাখ সৌদি রিয়াল)।
দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এই আইনের অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা। নতুন আইনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যান্টি বেগিং ল’ বা ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে আইন।
ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত থাকা, ভিক্ষুকদের জড়ো করে কৌশলে ব্যবসার চেষ্টা বা কোনো ভিক্ষুক গ্রুপকে সহায়তা করলে তাদের এই আইনের অধীনে শাস্তি দেওয়া হবে।
আইনে বলা হয়েছে, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত কাউকে উৎসাহিত ও সাহায্য করলে তিনিও এই আইনে শাস্তি পাবেন। এ ক্ষেত্রে জড়িতদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩ টাকা (৫০ হাজার সৌদি রিয়াল) জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
এই আইনের অধীনে সৌদি আরবের নাগরিক নন-এমন ভিক্ষুকদেরকে জেলের মেয়াদ শেষে এবং জরিমানার অর্থ পরিশোধের পর নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। কাজের জন্য তাদের আর কখনো সৌদি আরবে ফিরতে অনুমোদন দেওয়া হবে না।
অন্য দেশের কোনো ভিক্ষুক যদি সৌদি নারীর স্বামী বা সন্তান হন, তাহলে তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে না।
ভিক্ষাবৃত্তির জন্য কোনো ব্যক্তি যদি একাধিকবার গ্রেপ্তার হন তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। এই আইনের প্রয়োগ করবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ভিক্ষুকদের সামাজিক, স্বাস্থ্য, মানসিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করে এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে এ কাজে সহায়তা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরবের তথ্য মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে সৌদি আরবে ২ হাজার ৭১০ জন ভিক্ষুককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৪০ জনই ছিলেন নারী।
ইউকে/এএস