নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম ওরফে শাহিন শাহ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন দশম বার পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রায় ঘোষণার দিনক্ষণ আরেক দফা পিছিয়ে আগামী ২৮ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। সকালে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওএইচএম ইলিয়াস হোসেন আলোচিত এই হত্যা মামলার রায়ের পরবর্তী এই তারিখ ঘোষণা করেন।
এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর আদালতে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এরপর ১০ ডিসেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন ছিল। সেদিন রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ১৪ জানুয়ারি করা হয়। এ দিনও রায় ঘোষণার দিন আরেকবার পিছিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। এ দিনও দিন পেছায়। এভাবেই ইতোপূর্বে ৯ বার পিছিয়েছে। সর্বশেষ গত ২৯ আগস্ট রায় ঘোষণার দিনক্ষণ পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়েছিল। এদিনও রায় ঘোষণা না হওয়ায় আগামী ২৮ অক্টোবর পুনরায় রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করলেন বিচারক।
নিহত শাহিন শাহ রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলীর ছোট ভাই। ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন তিনি।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী শাহিন শাহ রাজশাহী কোর্ট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাকে হত্যার ঘটনায় তার ভাই যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বাদী হয়ে পর দিন নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুনসুর রহমানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় শাহিন শাহর স্বজনরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির অপেক্ষা করছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী বলছেন, তারা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন। তাদের আশা, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।
তবে বারবার রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে যাওয়ায় তারা আশাহত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। মামলার বাদী মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু রায় ঘোষণার দিন বারবার পিছিয়ে যাওয়ার কারণে আমরা কিছুটা শঙ্কিত। আমরা ন্যায়বিচার চাই। দিনদুপুরে প্রকাশ্যে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, হত্যাকারীদের সবাই দিনের আলোয় দেখেছেন। তার ভাই একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তাকে হত্যা করায় তার স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
ইউকে/এএস