নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে একই সঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নারী। তবে জন্মের পর এক এক করে পাঁচ নবজাতকই মারা গেছে।
রামেক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেসমিন খাতুন নামে এক নারী একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু অপরিণত শিশু হওয়ায় তাদের একজনকেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ফলে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েও খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাকে।
জেসমিন খাতুনের স্বামীর নাম শহিদুল ইসলাম পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের কাবাতুল্লাহ মোল্লাটল্লা গ্রামে।
শহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজ বাড়িতেই সাড়ে চার মাস বয়সী একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেন জেসমিন (২৪)। ওই নবজাতক বাড়িতেই মারা যায়। এরপর স্ত্রীকে দ্রুত রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি জানান, সেখানে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তার জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। এর মাধ্যমে আরও চারটি ছেলে জন্ম দেন জেসমিন। এরপর জেসমিনকে হাসপাতালে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বেডে স্থানান্তর করা হয়।
আর চার নবজাতককে রাখা হয় ইনকিউবেটরে। তবে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যেই চার শিশুই মারা যায়।
এদিকে, একসঙ্গে চার সন্তান প্রসবের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই তাদের একনজর দেখার জন্য ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি বলেন, জেসমিন প্রথমবার গর্ভধারণ করেছিলেন। মাত্র সাড়ে চার মাস বয়স হয়েছিল বাচ্চাগুলোর। ওজন অনেক কম ছিল। অনেক চেষ্টা করেও কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। জন্মের দুই ঘণ্টার মধ্যেই সব নবজাতকই মারা গেছে।
ইউকে/এএস