রাবি ভর্তিচ্ছুদের গুণতে হবে না অতিরিক্ত ভাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হল বন্ধ রেখে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। হলে থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যে সুযোগ ছিল সেটি করোনা মহামারীর কারণে সম্ভব হচ্ছে না৷ ফলে ভর্তিচ্ছুদের আবাসন ব্যবস্থার একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে থাকা বিভিন্ন মেস।

প্রতি বছর এসব মেসে ভর্তিচ্ছুদের থাকার জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলেও এবার সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে মেস মালিক সমিতি। যদিও এবার কয়েক জায়গায় ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, শুক্রবার (১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মেসে ভর্তিচ্ছুরা অবস্থান করছেন। এজন্য শহরের মেসগুলো আগেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

রাজশাহী মেস মালিক সমিতি জানায়, মহানগরীতে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মেস রয়েছে। যেখানে এক লাখ ২০ হাজারের মতো শিক্ষার্থী থাকতে পারেন। তবে ভর্তি পরীক্ষার সময় অভিভাবকসহ দেড় লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়। সব অতিথিদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে মেস মালিক সমিতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার এলাকার ফাল্গুনী ছাত্রাবাসে থাকেন রাবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মোত্তালিব। তিনি বলেন, আমাদের মেসে সব সিঙ্গেল রুম। তাই আমাদের পক্ষে দুই-তিন জনের বেশি অতিথি রাখা সম্ভব হবে না৷ অতিথি আসার ব্যাপারে মেস মালিকের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। আর স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান কাজলার একটি ছাত্রাবাসে থাকেন। তিনি বলেন, ২ অক্টোবর (শনিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরীক্ষা দিতে নওগাঁ থেকে আমার চাচাতো ভাই আসবে। এরপর রাবি’র পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আরও তিন দিন থাকবে। এ বিষয়ে মেস মালিক অতিরিক্ত কোনো ভাড়ার কথা বলেনি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বায়তুল ইন্তেজার ছাত্রীনিবাসের এক শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে অতিথি আসলে টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মেস মালিক। টাকা ছাড়া কোনো অতিথিকে মেসে থাকতে দেওয়া হবে না। এছাড়া ওই এলাকার আরও কিছু ছাত্রীনিবাসে অতিথি রাখতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জানতে চাইলে মহানগর মেস মালিক সমিতির সভাপতি এনায়েতুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেসব ভর্তিচ্ছুরা আসবেন তাদের থাকার জন্য আমরা কোনো টাকা নেবো না। তবে শহরে মেসের সংখ্যা বেশি নয়। তার মধ্যে হল বন্ধ থাকায় ছাত্ররা মেসে উঠেছে। এমন সময় ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা আসলে আবাসনের বিশাল সংকট দেখা দেবে। সেটি মোকাবিলার জন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো মেস মালিক যদি অতিথি রাখায় নিষেধাজ্ঞা দেয়- তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো। আর এর জন্য একটি সেলও তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো প্রয়োজন ও অভিযোগ জানাতে ০১৭২৯২৮৯৬২৮, ০১৭২৬৭৭৭৭৮৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

ইউকে/এএস