ক্রীড়া বিভাগ: বার্সেলোনায় চাকরির শুরু থেকেই বিতর্কের নিশানায় কোচ রোনাল্ড কোম্যান। তিনি প্রথমবার সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন লুইস সুয়ারেসকে বিদায় করে। এরপর ক্লাবের পারফর্মেন্স ক্রমে খারাপ হতে থাকে। কিছুদিন আগে লিওনেল মেসিও চলে গেছেন পিএসজিতে। বার্সার অবস্থা এখন লেজে গোবরে! জয় কী জিনিস- সেটা তারা ভুলেই গেছে। কোম্যানের চাকরি গিয়েও যাচ্ছে না। কারণ মেয়াদ শেষের আগে চাকরিচ্যুত করলে তাকে বড় অংকের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বার্সাকে।
আর্থিক সমস্যায় ডুবতে বসা বার্সেলোনা এত টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে কীভাবে? তাছাড়া বিকল্প কোচও তো খুঁজতে হবে। সেই কোচের বেতন জোগার করতে হবে। আগামী সপ্তাহেই হয়তো চাকরি হারাতে যাচ্ছেন কোম্যান। এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনে এলেই তাকে সাংবাদিকদের তীর্যক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আগামীকাল রাতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে আজও সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে বিধ্বস্ত হতে হলো বার্সা কোচকে। একপর্যায়ে তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।
চাকরি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কোম্যান বলেন, ‘কেউ আমাকে এখনো কিছু বলেনি। এটা সত্য যে সকালে সভাপতি এসেছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা হয়নি। তিনি আমাকে এখনো কিছুই বলেননি। যদিও আমার চোখ আছে, কান আছে এবং বুঝতে পারছি, অনেক কিছুই ফাঁস হয়েছে। বারবার নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। যে কেউ এখন ক্লাব ও দলের পরিস্থিতিটা বিশ্লেষণ করতে পারবে। ক্লাবে আমরা পরিবর্তন মেনে নিয়েছি। একদিন আমি এসব নিয়ে মুখ খুলব।’
এরপরেই মোক্ষম প্রশ্নটা করে বসেন এক সাংবাদিক। কোম্যানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বার্সা কোচ হিসেবে তার সেরা মুহূর্ত কোনটি? প্রশ্নের ধরনে মনে হয়েছিল, এটাই হয়তো বার্সা কোচ হিসেবে কোম্যানের শেষ সংবাদ সম্মেলন। তাই রেগেমেগে কোম্যান বলেন, ‘আমাকে এ কথার জবাব দিতে হবে? মনে হচ্ছে, ইতিমধ্যেই ছাঁটাই হয়েছি! চুক্তি সই করা সেরা মুহূর্ত, লিওনেল মেসির চলে যাওয়া সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত। আমার কাছে টাকার বস্তা থাকলে মেসি এখানেই থাকত এবং আরও কিছু ফুটবলারকে নিয়ে আসতাম।’
ইউকে/এএস