করোনায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭৩ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬১৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৪ জন। মৃত ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৯ জন ও ৯ জন নারী।

রোববার (৩ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিফ কোভিড ইউনিট) অধ্যাপক ডা. মো. ইউনুস স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮২১টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৪৬টি, জিন এক্সপার্ট ৫৬টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬১৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২১ হাজার ১৬০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২২ হাজার ২৪৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯০টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৬১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৯০ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৮১ হাজার ৭০৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪০ হাজার ৭৮৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

ইউকে/এএস