বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হলো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর থাপ্পড় খাওয়া। ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এখনও চলছে।
সম্প্রতি জনসংযোগে গেলে এক নাগরিক তাকে থাপ্পড় দেন। পুলিশ ওই নাগরিকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
থাপ্পড় খেয়ে খুবই ক্ষুব্ধ ম্যাক্রোঁ। অনেকটা এভাবেই বলেছেন, ক্ষোভ প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে।
কিন্তু বোকার মতো গায়ে হাত তুলবে কেন? আমি সাধারণ নাগরিকদের কাছে যাই। অনেক সময়ই তারা ক্ষোভ-হতাশা প্রকাশ করে থাকেন। চলমান জনসংযোগ কর্মসূচিতে এ ঘটনা কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও দাবি করেন ম্যাক্রোঁ।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতেও সব দলের আইনপ্রণেতারা ওই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসেক্স বলেন, দেশের প্রধানের ওপর হামলার অর্থ হল গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। গণতন্ত্রের অর্থ হল বিক্ষোভ, বিতর্ক, আর আলোচনার মাধ্যমে মতামত আদান-প্রদান। মতভেদ থাকতে পারে। সেটা জানানোর বৈধ উপায়ও আছে। কোনোভাবেই মৌখিকভাবে হেনস্তা বা শারীরিক আঘাত গ্রহণযোগ্য নয়।
দেশটির একটি বামপন্থী দলের আইনপ্রণেতা আদ্রিয়েন কোয়াটেনেন্স মনে করেন, যে হামলার শিকার হয়েছেন ম্যাকরন তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে যে কোনো সমস্যা আলোচনা আর ব্যালটের মাধ্যমে সমাধান করতে হয়। সহিংসতার মাধ্যমে নয়।
উল্লেখ্য, ড্রোম প্রদেশের ছোট শহরটির রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী ও স্কুল পরিদর্শনের পর অপেক্ষমান সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময়ে এগিয়ে যান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। হঠাৎ ঘটে যায় অপ্রীতিকর ওই ঘটনা। দেহরক্ষীরা দ্রুত সামলে নিলেও এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।
ঘটনার পর থেকে এখনও আটককৃত হামলাকারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি ফরাসি পুলিশ। এমনকি জানা যায়নি প্রেসিডেন্টকে চড় মারার কারণও।
ইউকে/এসএম