বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২৩ অক্টোবর) তিনি দেশে ফিরেছেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান গত ১৯ অক্টোবর কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ন্যাম ইয়ং শিনয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তারা দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন সম্ভাবনার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনী প্রধান ‘আর্মি টাইগার ৪.০’ ও ‘ওয়ারিয়র্স প্লাটফর্ম’ শীর্ষক দুটি মহড়া দেখেন।
এছাড়াও তিনি সিউলে ইন্টারন্যাশনাল অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশন-২০২১ এর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
পরে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সিঅ উক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ন্যাম ইয়ং শিন, অ্যাঙ্গোলা সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল জ্যাক রাউল, রাশিয়া গ্রাউন্ড ফোর্সের কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল ওলেগ লিওনিদোভিচ সেউকভসহ অন্যান্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বুধবার (২০ অক্টোবর) রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ‘সিউল ইন্টারন্যাশনাল অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশন (অউঊঢ)- ২০২১’ পরিদর্শন করেন। সেখানে রাষ্ট্রপতির সম্মানে একটি ‘এয়ার শো’ অনুষ্ঠিত হয় যা, অন্যান্য দেশের ভিআইপিদের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান পর্যবেক্ষণ করেন।
‘এয়ার শো’ শেষে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ প্রদর্শনীতে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম সম্বলিত স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রিপাবলিক অব কোরিয়ার ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন কর্তৃক আয়োজিত কালচারাল ট্যুরে সেনাবাহিনী প্রধান অংশ নেন এবং সিউলের ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।
একই দিনে সেনাবাহিনী প্রধান সিউলে তার সম্মানে বাংলা হাউজে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন এবং কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক সিউল ইন্টারন্যাশনাল অ্যারোস্প্যাস অ্যান্ড ডিফেন্স এক্সিবিশন-২০২১-এ এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে উপযুক্ত সরঞ্জামাদির একটি ধারণা পাওয়া যাবে ও ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও এ সফর দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউকে/এএস