রাজশাহীতে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর তিন দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শূন্য বৈষম্য দিবস’উপলক্ষে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়।

দিনের আলো হিজড়া সংঘ’এর আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো- উত্তরাধিকার আইন বা পারিবারিক সম্পত্তির আইনে নারী পুরুষের পাশাপাশি হিজড়া অথবা  ট্রান্সজেন্ডার নাম অন্তর্ভুক্ত করা; শ্রম আইনে নারী পুরুষের পাশাপাশি হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার নাম অন্তর্ভুক্ত করা ও নারী-শিশু নির্যাতন আইনে হিজড়া ট্রান্সজেন্ডার নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং এগুলো আইনে অন্তর্ভুক্ত করে সেই আইন বাস্তবায়ন করা।

মানববন্ধন শেষে এসব নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

এর আগে ‘শূন্য বৈষম্য দিবস’ উপলক্ষে রাজশাহীতে মানববন্ধন করেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।।

এ সময় দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মিস মোহনা, সাধারণ সম্পাদক সাগরিকা খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পলি, কোষাধ্যক্ষ জুলি প্রকল্প সমন্বয়কারী আফসানা তানজুম ইরানী, প্রকল্পের ফাইনান্স অফিসার মোস্তাক আহম্মেদ ও রায়হানুল হক রায়হানসহ শতাধিক তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে মোহনা বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগণের অধিকার আদয়ে এবং তাদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে যেতে দিনের আলো হিজড়া সংঘ দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছে। তাদের পরিশ্রম অনেকাংশে সফল হয়েছে।

তিনি বলেন- সরকার তাদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু তাই নয় পিতার সম্পদে পূর্ন অধিকার এবং ভোট প্রদান ও নির্বাচন করার অধিকার দিয়েছে বলে জানান তিনি।

এর পরেও তাদের অনেক দাবী ও অধিকার এখনো খর্ব হচ্ছে। এ লক্ষে তিনি তিন দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো- উত্তরাধিকার আইন বা পারিবারিক সম্পত্তির আইনে নারী পুরুষের পাশাপাশি হিজড়া অথবা  ট্রান্সজেন্ডার নাম অন্তর্ভূক্ত করা; শ্রম আইনে নারী পুরুষের পাশাপাশি হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার নাম অন্তর্ভূক্ত করা ও নারী-শিশু নির্যাতন আইনে হিজড়া ট্রান্সজেন্ডার নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং এগুলো আইনে অন্তভুক্ত করে সেই আইন বাস্তবায়ন করা।

মানববন্ধন শেষে দাবী দাওয়া নিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলমের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

ইউকে/এসই