ছাগলের পা ভাঙার বিচার চাইতে থানায়!

সাভার সংবাদদাতা: আহত ছাগল নিয়ে থানার মূল ফটকের সামনে অপেক্ষা করছেন ছাগলের মালিক। পূর্ব শত্রুতার জেরে ছাগলের পা ভেঙে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। অবলা এই প্রাণির বিচার চাইতে ছাগল নিয়ে থানায় হাজির হয়েছেন ভুক্তভোগী। গতকাল রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টায় আশুলিয়া থানায় সরেজমিনে এ চিত্র চোঁখে পড়ে।

পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ছাগলের মালিক সিদিদকুর রহমান বাদী হয়ে দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। ভুক্তভোগী ছাগল মালিক সিদ্দিকুর রহমান পেশায় মোবাইল টেকনিশয়ান। থাকেন আশুলিয়া পাথালিয়া ইউনিয়নের সক্রান গ্রামে। অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার চাকলগ্রামের মাজেম মিয়ার ছেলে আ: রহিম (৫০) ও অপরজন একই গ্রামের নজরুল (৫৫)।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি ৪ টি ছাগল পালি। ছাগলদের গোসল করিয়ে বাড়ির পাশে সড়কে রোদে রেখেছিলাম। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি পার্শবর্তী আব্দুর রহিম আমার ছাগলকে মারধর করছে। আমাকে দেখা মাত্রই পালিয়ে যায় সে। কাছে গিয়ে দেখি আমার ছাগলের একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাকি ছাগলগুলোরও মারের চোটে পেট ফুলে গিয়েছে। স্থানীয় নজরুলের নির্দেশে আব্দুর রহিম এই কাজ করেছে। এরআগে তারা ছাগল পালন না করেছে। তাদের ক্ষেতে যেতে পারে বলে। কিন্তু কখনোই ছাগল তাদের ক্ষেত খামারে যায়নি।

অভিযুক্ত আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলের পার্শবর্তী জমিতে চাষাবাদ করেন বলে জানা যায়। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সিদ্দিকুর রহমানের ভাই হারুনর রশিদ পেশায় চা দোকানী। ছাগল নিয়ে আশুলিয়া থানার ফটকে বসে ছিলেন তিনি। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমরা এই এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছি দেখে এলাকার স্থানীয়রা আমাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। আমাদের ছাগল কখনই পাশের ক্ষেতে যায়নি। তবুও আমরা ছাগল পালন করি দেখে আমাদের হুমকি ধামকি দেয় আব্দুর রহিম।

তিনি আরও বলেন, গত ৬ মাস আগে তোতামুখী জাতের ছাগলটিকে ১২ হাজার টাকায় কিনেছিলাম। এখন ছাগলটি যদি মারা যায় তাহলে কি করব। আমরা গরীব মানুষ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহিম ও নজরুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আশুলিয়া থানার এসআই আবুল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে ঘটনাটি জেনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউকে/এসএম