রাজশাহীতে বিশ্বকাপ ফুটবলের আমেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর মাত্র চারদিন। আগামী ২০ নভেম্বর কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসছে। দিন যত ঘুনিয়ে আসছে সমর্থকদের মাঝে বাড়ছে উত্তেজনা। ফুটবলপ্রেমীরা শুরু করেছে দিনগণনা। বিশ্বের সঙ্গে এ রোমাঞ্চের জন্য অধীর আগ্রহে বাংলাদেশি সমর্থকরাও। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা দেশগুলোর জার্সি, পতাকা বিক্রি বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা সমর্থকদের বাড়ির ছাদ ছাড়াও আশে-পাশের খুঁটিতে শোভা পাচ্ছে। সেই পতাকাগুলোর উপরে বাংলাদেশের পতাকা ও নিজে ভালোলাগা দেশের পতাকা।

নগরীর মার্কেট ও ফুটপাতগুলোতে বিভিন্ন দেশের জার্সি বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। এছাড়া পথে হেঁটে লাঠিতে পতাকা বেঁধে বিক্রি করতে দেখা গেছে অনেকেই। বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল ফুটবল দলের ভক্ত বেশি থাকায় এই দুই দেশের পতাকা বিক্রি হয় বেশি। এছাড়া গত কয়েক বছর জার্মানি, স্পেন ও পর্তুগাল ও ফ্রান্সের সমর্থক বেড়েছে। তাই এসব দেশের পতাকাও কমবেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তারা। এদিকে পতাকার পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের জার্সি ও বিক্রি হচ্ছে। বাসা-বাড়ির ছাদ কিংবা দোকান ঘরে ওড়ানোর জন্য পছন্দের দেশের পতাকা সংগ্রহ করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। পতাকার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, চায়ের দোকান থেকে বাড়ির উঠোনে যুক্তিতর্কে মেতে উঠবেন ফুটবলপ্রেমীরা।

পতাকা বিক্রেতা রাজিব আলী জানান, ফেরি করে পতাকা বিক্রি করি। কয়েক দিন আগে বিক্রি কম ছিল। বিশ্বকাপের দিন যত ঘনিয়ে আসছে পতাকা বিক্রিও তত বাড়ছে। বাংলাদেশ, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স , ইংল্যান্ড, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশের পতাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে জার্সি বিক্রিতা কোরবান আলী বলেন, এবরা জার্সি বিক্রি কম হচ্ছে। আমি গত বিশ্বকাপে বেশী বিক্রি করেছিলাম জার্সি।
ব্রাজিলের সমর্থক কৃষান বলেন, এবার কাপ ব্রাজিলই নিবে। কারণ ব্রাজিল গতবারের থেকে বেশি শক্তিশালী।

বন্ধন বস্ত্রালয় এর বিক্রেতা ফজলে রাব্বী সরকার জানান, বাংলাদেশের পতাকা বিক্রি করছেন প্রকার ভেদে ৩০ থেকে ১০০ টাকা, ব্রাজিলে পতাকা ১৬০ টাকা, আর্জেন্টিনার পতাকা ১৫০ টাকা, জার্মানির পতাকা ১৫০ টাকা, স্পেনের পতাকা ১৫০ টাকা ও পর্তুগালের পতাকা ১২০ টাকায়। তবে এবছর রাজশাহীতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পতাকা। খেলার সাথীর বিক্রেতা রাজিউদ্দীন আহমেদ জানান, অন্য বছরগুলোতে এতো বেশি জার্সি বিক্রি হয়। এবছর প্রচুর জার্সি বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের জার্সি। এর পরে জার্মানির জার্সি বিক্রি হচ্ছে।

ইউকে/এসএম