নিজস্ব প্রতিবেদক: এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এর আয়োজনে ও দ্যা কার্টার সেন্টার এর সহযোগিতায় আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৫নং গোগ্রাম ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে গণশুনানি আয়োজন করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, জনঅংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং নারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে কমিউনিটির মানুষ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গণশুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গণশুনানিতে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব, সামাজিক নিরাপত্তা-বেষ্টনী কর্মসূচির বিভিন্ন দিক, নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সভা এবং ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভাকে অগ্রাধিকার দেয়া, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ, আদিবাসী, দলিত ও প্রান্তিক নারীর জীবনমান উন্নয়নে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে করণীয় তুলে ইউপি চেয়ারম্যান কথা বলেন।
‘‘বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি’’ প্রকল্পের অধীনে গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান। প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পালের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোদাগাড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন বলেন, গণশুনানির মতো একটি উদ্যোগ জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চর্চা একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ রাখবে। জনগণ তাদের সমস্যার সমাধানে একটি প্লাটফরম হিসেবে ব্যবহার করবে, এটি সুশাসনের জন্য মাইলফলক। বর্তমান সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিশ্চিতে গণশুনানির বিকল্প নেই। সভাপতির বক্তব্যে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ জনগণের প্রতিষ্ঠান, এটিকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে হলে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়, তাই আজকের গণশুনানির মাধ্যমে আমরা এটি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছি। এটি প্রতিনিয়ত চলবে বলেও জানান।
গণশুনানিতে গোগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে উপস্থিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের উদ্দেশ্যে রাস্তার সমস্যা, পানির সমস্যা, শিক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে, একই সাথে কিছু বিষয়ের তাৎক্ষনিক সমাধান দেন। কিছু বিষয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। নারী গ্রুপের সদস্য জরিনা টপ্প, প্রভাতী রানী, কাজলী রানী, লক্ষী মার্ডি, ইয়ূথ ফোরামের সদস্য বিজলী কুমারী, সংগিতা লাকড়া, মুরারিপুর দক্ষিনপাড়া গ্রাম সমাজ প্রধান অশোক টপ্পসহ স্থানীয় জনগণ সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করেন।
ইউকে/এএস