কর্মসংস্থানের সুযোগ চায় হিজড়া সম্প্রদায়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান চান। তারা সমাজের চোখে প্রচলিত নেতিবাচক কাজ আর করতে চান না। সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরতে চান। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে চান।

এই দাবি জানিয়ে আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে নগরীর নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় মতবিনিময় সভা করেছেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায়, গ্লোবাল অ্যাফিয়ার্স কানাডার অর্থায়নে দিনের আলো হিজড়া সংঘ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

সভায় বক্তব্য দেন দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনা, সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত নারী কাউন্সিলর, কোষাধ্যক্ষ মিস জুলি, উপদেষ্টা ও সাংবাদিক শরীফ সুমন, হিজড়া সংঘের প্রোগ্রাম অফিসার রায়হানুল হক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন প্রকল্পের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী মৌসুমী খাতুন প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় রাজশাহী শহরের ২০ সাংবাদিক ও ১৫ জন হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরাও তাদের মতামত দেন।

সভায় মোহনা বলেন, তাদের অনেক সদস্যই নিজ থেকেই এরই মধ্যে উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন। তারা আগের নেতিবাচক কাজে থাকতে চান না। তবে এ জন্য দরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা ধরনের কাজের মানুষের দরকার হয়, সেখানে তাদের সদস্যদের চাকরি দেওয়া যেতে পারে।

তিনি সভায় আক্ষেপ জানিয়ে বলেন, তারা রাজশাহী শহরে থাকার মতো বাসস্থান পাচ্ছেন না। ভালো একটি বাসাও পাচ্ছেন না। হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য হাওয়ায় কেউ তাদেরকে।বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। এতে ভালো বাসস্থান না পেয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসন থেকে যে ঘরগুলো দেওয়ার কথা ছিল, সেগুলো অনেক দূরে দিতে চায়। তিনি সেগুলো যার বাড়ি যেখানে, সেখানেই দিতে অনুরোধ করেছেন। এর চেয়ে তাদের থাকার জন্য যদি সরকার থেকে একটি কোয়ার্টার করে দেয়, সেটা ভালো হয়। তিনি এছাড়া মোহনা হিজড়াদের করা ভালো কাজগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান।

নির্বাচিত নারী কাউন্সিলর সুলতানা আহমেদ সাগরিকা বলেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পেছনে সাংবাদিকদের ভূমিকা কাজে লেগেছে। তারা মানুষের কাছে তাকে পৌঁছাতে কাজ করেছেন। তিনি সামনে আরও ভালো কাজ তুলে ধরার আহ্বান জানান।

সংগঠনের উপদেষ্টা শরীফ সুমন বলেন, রাজশাহীতে হিজড়া সম্প্রদায় সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে অনেক বেশি পাচ্ছেন। তবে তাদের সমস্যাগুলো আরও তুলে ধরতে হবে। কারণ একজন মানুষ হিসেবে তারা বাসা ভাড়া পাচ্ছেন না। এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। তারা সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এক সময় আরও এগিয়ে যাবে।

ইউকে/এএস