বিনোদন বিভাগ: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তুমুল জনপ্রিয় ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার ফজল-এ খোদা।আজ (৪ জুলাই) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর রায়ের বাজারে কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গীতিকারের ছেলে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ওয়াসিফ-এ-খোদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওয়াসিফ-এ-খোদা নিজে, তার মা এবং স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে তার মা করোনা আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, সকালে রায়ের বাজারের ফজল-এ-খোদা’র (বাবা) জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়।জানাজা শেষে তার মরদেহ রায়ের বাজার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নন্দিত গীতিকবি ফজল-এ-খোদা’র সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।অবশেষে আজ ভোর ৪ টায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল ও কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক এই গুণী মানুষটির জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ, পাবনার বেড়া থানার বনগ্রামে। বাবা মুহাম্মদ খোদা বক্স এবং মা মোসাম্মাৎ জয়নবুন্নেছার ঘরে জন্ম নেওয়া তাদের প্রথম সন্তান ফজল-এ-খোদা।
গীতিকারের ছেলে দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী সম্পাদক ওয়াসিফ-এ-খোদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওয়াসিফ-এ-খোদা নিজে, তার মা এবং স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। এর মধ্যে তার মা করোনা আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ১২তম স্থানে রয়েছে ফজল-এ-খোদার লেখা ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি।
ফজল-এ-খোদার লেখা গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগ’ ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে, ‘খোকন মণি রাগ করে না’।
তিনি বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ১৯৬৩ সালে। ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন ফজল-এ-খোদা। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোক সংগীত এবং ইসলামিক গান লিখে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
ইউকে/এএস