টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৩ জন। এছাড়াও আরো সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শহর ছাড়াও প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। নমুনা দিলেই তাদের পজিটিভ আসছে। এতে গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। জেলায় সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১৩ জন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ৫৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃত্যু ১৩৫ জন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান জানান, হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ৭৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৬৫ জন মোট ১৪৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে আসছেন। অনেক রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে থাকে। এসব রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা প্রয়োজন হয়। হাসপাতালে অন্তত ২৫টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকলে এই রোগীদের যথাযথভাবে সেবা দেওয়া যেতো। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ১২টি। এর মধ্যে চারটি অকেজো। মাত্র আটটি দিয়ে বিপুল সংখ্যক মুমুর্ষূ রোগীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন বলেন, কিছুদিন ধরে টাঙ্গাইলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলা। সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক প্রায় সব ঘরেই জ্বরের রোগী রয়েছে। জ্বরকে আমরা করোনার উপসর্গ হিসেবেই নিচ্ছি। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
ইউকে/এএস