করোনাকালে বাড়ে ডায়াবেটিসের জটিলতাও

লাইফস্টাইল বিভাগ: করোনা-দফায় দফায় লকডাউনে শারীরিক পরিশ্রম কম হওয়া, ঘরে থেকে বেশি খাবার খাওয়া ও মানসিক চাপে বাড়ছে ডায়াবেটিসের জটিলতা। এই অবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানলে, ডায়াবেটিসের রোগীরা এই করোনাকালেও দীর্ঘদিন স্বাভাবিক সুস্থ জীবন উপভোগ করতে পারেন।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ-

অতিরিক্ত ক্ষুধা
খাওয়ার পরই দেখা যায়, আবার ক্ষুধা অনুভব করছেন। আসলে যখন রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরকে সচল রাখার জন্য অতিরিক্তি খাদ্যের প্রয়োজন হয়।

ক্লান্ত লাগে

ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে অল্প পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয় যায়। ঘুম পায়, কাজে মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়।

গলা শুকিয়ে যায়

একটু পরপরই পানির তেষ্টা পায়, আর বারবার মূত্রত্যাগ করার প্রয়োজন বোধ হয়। এটাই ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ হিসেবে ধরে নেন অনেকে।

ওজন কমে
অনেকেই খুশি হন এই ভেবে যে, অনেক চেষ্টা করেও যখন ওজন কমানো যায়নি। আর এখন এমনিতেই ওজন কমে স্লিম হয়ে যাচ্ছে। সত্যিটা হচ্ছে, ডায়াবেটিস যখন শরীরে বাসাবাঁধে, তখন ওজন কমে যায়।

দৃষ্টি

দীর্ঘদিন হাই ব্লাড সুগার থাকলে চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসে।

ইনফেকশন

ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে শরীরে ফাংগাস ইনফেকশন বেশি হয়, আর যেকোনো ধরনের ইনফেকশন সারতে অনেক বেশি সময় নেয়।

নিয়ন্ত্রণের জন্য যা করতে হবে
• বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ও পরিমাণমতো সুষম খাবার খেতে হবে
• নিয়মিত ব্যায়াম বা দৈহিক পরিশ্রম করতে হবে
• ব্যবস্থাপত্র সুষ্ঠুভাবে মেনে চলতে হবে
• শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
• পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে
• চিনি, মিষ্টি, গুড়, মধুযুক্ত খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে
• ধূমপান করা যাবে না
• ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো কারণেই ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা বন্ধ রাখা যাবে না।

যাদের পরিবারে বাবা-মা, ভাইবোনের ডায়াবেটিস আছে। তারা এখনই সচেতন হন। বিশেষ করে যাদের ওজন অনেক বেশি তারা হার্ট ডিজিজ, উচ্চ রক্তচাপসহ রক্তে টি এস এইচ, ব্লাড সুগার, লিপিড প্রোফাইল, ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন ইত্যাদি পরীক্ষাগুলো করে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য একজন ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিন এবং তা মেনে চলুন।

মনে রাখতে হবে, আমাদের শরীরে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপের মতো রোগগুলোর পেছনে সবচেয়ে বেশি কাজ করে অতিরিক্ত ওজন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। করোনাকালে লকডাউনে রাস্তায় হাঁটতে না পারলে ঘরেই নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ঘরের কাজে সঙ্গীকে সাহায্য করুন, এতে লাভ আপনারই হবে। রক্তের সুগার ও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

ইউকে/এএস