ইন্দোনেশিয়ায় মহাবিপর্যয়, বাড়িঘরে পড়ে আছে মরদেহ

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ইন্দোনেশিয়ায় করোনা মহামারি মহাবিপর্যয় ডেকে এনেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ৬৯ হাজার মানুষ।

গত দেড় বছরের মধ্যে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাড়িঘরে মরদেহ পড়ে থাকছে। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করছে। খবর বিবিসির।

অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশটির দমকল বাহিনীর সদস্যরা এখন আগুন নেভানোর পরিবর্তে কোভিডে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধারের কাজ করছেন।

দমকল কর্মীরা জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ মানুষ একা একা মারা যাচ্ছেন। এর একটি হতে পারে তারা হয়তো প্রাথমিক চিকিৎসা পাননি, নয়তো হাসপাতাল থেকে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মে মাসের প্রথম দিকে ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করেই মারাত্মক আকার ধারণ করে। তখন ঈদের ছুটিতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে যাতায়াত করেছে।

ইন্দোনেশিয়ার একটি পরিসংখ্যান গ্রুপ ল্যাপোর কোভিড-১৯ বলছে, জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪৫০ জন তাদের বাড়িতে মারা গেছেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তারা সেলফ-আইসোলেশনে ছিলেন, কারণ হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি করানোর জায়গা ছিল না।

দেশটির জাভা দ্বীপে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।

বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কারণে নতুন রোগী ভর্তি করানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব লিয়া গার্দেনিয়া পারটাকুসুমা বলেন, সাধারণত একটি হাসপাতালে এক সপ্তাহে তিন টন অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন এই পরিমাণ অক্সিজেন এক দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে। কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছে।

ইউকে/এএস