বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আজ। পবিত্র আরাফাত দিবস। এদিন হজযাত্রীদের কণ্ঠে সমস্বরে উচ্চারিত হচ্ছে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নিয়ামাতা, লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাকা।’ অর্থাৎ- হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।
আজ ফজরের নামাজের পর থেকেই তাঁবুর শহর মিনা থেকে হজযাত্রীরা দু’টুকরো সাদা কাপড়ে আবৃত হয়ে যাত্রা শুরু করেছেন আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে তালবিয়া ‘লাব্বাইক’ ধ্বনি।
এরআগে রোববার ফজরের নামাজের পর হজযাত্রীরা ইহরাম বাঁধেন। সে অবস্থায় তালবিয়া পাঠ করতে করতে ইসলামের পবিত্র স্থান মিনার তাঁবুতে গিয়ে অবস্থান করেন।
আজ সন্ধ্যায় মুজদালিফায় গিয়ে হাজিরা আবারও মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন হাজিরা। আগামীকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে বড় জামারায় (প্রতীকী বড় শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করতে আবার মিনায় যাবেন তারা।
পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন।
কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যতদিন থাকবেন, ততদিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট ) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।
গত বছরের মতো এ বছরও সীমিত পরিসরে ও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৌদি আরবে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এ বছরও অন্য দেশ থেকে কেউ অনুমতি পাননি হজ করার জন্য। ফলে সৌদি আরবে থাকা ১৫০টি দেশের ৬০ হাজার মানুষ এবারের হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। হজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা দেবে হজ ও ওমরাহ কর্তৃপক্ষ। হজে অংশগ্রহণকারীরা সহজ ও স্বাভাবিকভাবে হজ সম্পাদনে অত্যাধুনিক স্মার্টকার্ডেও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
ইউকে/এএস