এবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: আবর সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তাওতের প্রভাব কাটতে না কাটতেই এবার আরেকটি সামুদ্রিক ঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। পূর্বাভাসকে সঠিক করে দিয়ে ঝড়টির দেখা দিলে এর নাম হবে ‘যশ’।

ঘূর্ণিঝড়ের এ নামটি ওমানের দেওয়া। ‘যশ’ শব্দটি এসেছে পার্সিয়ান ভাষা থেকে। ইংরেজিতে যেটিকে জেসমিন বলা হয়।

ভারতের আবহাওয়া অফিস (আইএমডি) ও ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগামী ২২ মের দিকে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে, যেটা বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরও কয়েকদিন থেকে বলছে। পরবর্তীতে এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী ২৪ মের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর আগামী ২৬ মের দিকে এটি উত্তর পশ্চিম ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে।

আইএমডি বলছে, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তথা বর্ষা দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি শক্তিশালী রূপ নেবে আগামী ২১ থেকে ২৪ মের মধ্যে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলে আগামী ২৫ মে বিকেল থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

আগামী ২৪ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সাগর থাকবে খুব উত্তাল। এজন্য সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে আগামী ২৩ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর বঙ্গোপসাগর চলাচল না করতে এবং ২৪ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ুর কারণে বিস্তৃতভাবে বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া সিকিম, সাব হিমালয়ান পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল প্রদেশ এবং মেঘালয়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

২০২০ সালে আম্পান মে মাসেই দক্ষিণ ভারত ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছিল। সেবার সুন্দরবনে এসে শক্তি হারিয়ে ফেলে সুপার সাইক্লোনটি। গত (১৮ মে) মঙ্গলবার আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় তাওতের ক্ষত এখনো দগদগ করছে গুজরাটে।

ইউকে/এসএম