বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: ডিএনসিসির সমগ্র এলাকায় গতরাত ১২টার মধ্যেই কোরবানির প্রথম দিনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের খোঁজখবর নিতে যান মেয়র আতিক। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডিএনসিসির সমগ্র এলাকায় রাত ১২টার মধ্যেই কোরবানির প্রথম দিনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতার ফলে এত অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সমগ্র এলাকা থেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র আতিক বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় এবার কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী নিয়োজিত। তিনি বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বরগুলো হলো ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪।
ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বরগুলো ছাড়াও ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেও দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। তিনি বলেন, কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে নগরীর কোথাও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয় সেজন্য নগরবাসীর মাঝে যথাসময়ে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার বর্জ্য ব্যাগ, ৫০ মেট্রিক টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটার আয়তনের এক হাজার পাঁচ ক্যান স্যাভলন বিতরণ করা হয়।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে সচেতন করতে গিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘করোনা মহামারিকালে যাতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় কারো মৃত্যু না হয়, সেজন্য নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তারকে রোধ করতে হবে।’ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডিএনসিসি মেয়র।
ইউকে/এএস