ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ নিয়ে তদন্ত কমিটি

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার (মুকুল) ও অভিভাবক ফোরামের উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাতে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তারকে। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে গত বছরের ডিসেম্বরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ফোনালাপের অডিও ছড়িয়ে পড়ে সম্প্রতি; যা অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর বলে দাবি করা হচ্ছে।

৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড-এর ওই ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পরপরই তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো (… বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’

তবে ফোনালাপটি সুপার এডিটেড দাবি করে অধ্যক্ষ বলেছেন, তিনি কাউকে গালিগালাজ বা হুমকি দেননি। কিছু অভিভাবক আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তারা আমর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। অধ্যক্ষ পদ থেকে আমাকে সরাতে নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কারণে আমার সঙ্গে একজন অভিভাবকের কথা হলেও তিনি সেটি ‘সুপার এডিট’ করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

ইউকে/এএস