বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা: অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৭

বগুড়া সংবাদদাতা: বগুড়া ফাঁপোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যার প্রধান আসামি গাউছুলসহ ৭ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে বগুড়া সদর ও রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার ছোট হাজিরপুর ফকিরগঞ্জ গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় রকি হত্যার আসামি মো. মেহেদী হাসান (১৮), মো. আরিফুর রহমান (২৮), মো. আলী হাসান (২৮), মো. ফজলে রাব্বী (৩০), মো. আ. আহাদ, মো. রমজানকে (২০) সঙ্গে নিয়ে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থান করছেন। রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বগুড়া সদরের ফাঁপোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব দুয়ারী প্রধান ফটকের সামনে থেকে ভোরে মো. গাউছুল আজমকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

বগুড়া র‍্যাব ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। তাদেরকে মাদক সেবন, মাদক ব্যবসা ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিতেন আওয়ামী লীগ নেতা রকি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ ছাড়াও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রকি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। রকি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হবে। এসব বিষয় নিয়ে গাউছুল তাকে হত্যার পরিকল্পপনা করেন বলে স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, গাউছুল অন্য আসামিদের ডেকে একত্রিত হয়ে রকির ওপর আক্রমণ করেন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ধারাল চাপাতি ও ধারালো ছোরা দিয়ে রকিকে (৩৫) এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে হত্যা করেন। আসামিদের ভাষ্যমতে, গাউছুলের পরিকল্পনায় এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আসামিদের বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরতলীর ফাঁপোড় ইউনিয়নের হাটখোলা এলাকায় রকিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরের দিন রকির ভাই রুকু বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় গাউসুলের নেতৃত্বে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। ওই সময় কিলিং মিশনে অংশ নেন এজাহারে নাম থাকা অভিযুক্ত ১০ জনসহ আরও ১০ থেকে ১২ জন। তারা প্রত্যেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নিহতের সারা শরীরে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

ইউকে/এএস