লঞ্চ নেই, চাঁদপুর ঘাটে আটকা পড়েছেন হাজারো পোশাক শ্রমিক

চাঁদপুর সংবাদদাতা: রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা রোববার (১ আগস্ট) চালু হওয়ায় ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজে যোগ দিতে হাজার হাজার শ্রমিক ও যাত্রী ভিড় করেছেন চাঁদপুর লঞ্চঘাটে।

শনিবার রাতের সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে প্রথমে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চালু রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

রাতে না ছাড়লেও রোববার ভোরে ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়তে শুরু করে। তবে বেলা বাড়ার পর লঞ্চ না থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার যাত্রী। রোববার দুপুরে আরেক ঘোষণায় সরকার লঞ্চ চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে। তবে কখন লঞ্চ বন্ধ হবে, সে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত মালিক প্রতিনিধিরা জানান, লকডাউন ছাড়া চাঁদপুর ঘাট থেকে প্রতিদিন ১৭টি বিলাসবহুল লঞ্চ চাঁদপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করে। কিন্তু প্রথমে শ্রমিকদের সুবিধার্থে স্বল্প সময়ের জন্য অনুমতি দেওয়ায় চাঁদপুর ও হাইমচর ঘাট থেকে আসা নয়টি লঞ্চ ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ভোরে প্রচন্ড ভিড় ছিল ঘাটে। এরপর সকাল ৭টার দিকে যাত্রী কিছুটা কমলেও সকাল ৮টার পরে আবার যাত্রী বাড়তে থাকে। সিডিউল সময়ের আগেই প্রত্যেকটি লঞ্চ কানায় কানায় পূর্ণ হয়। যার কারণে সময়ের আগেই ঘাট ত্যাগ করতে হয় লঞ্চগুলোকে।

সকাল ১১টায় আর কোনো লঞ্চ না থাকায় প্রায় তিন হাজার যাত্রী চাঁদপুর ঘাটে আটকা পড়েন। তখন শুরু হয় যাত্রীদের হৈ চৈ। অনেকেই লক্ষ্মীপুর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ ও আশপাশের এলাকা থেকে বহু কষ্ট করে লঞ্চঘাটে এসেছেন। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে পড়ে তারা এখন দিশেহারা।

ফরিদগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী কোহিনুর ও সেলিনা আক্তার বলেন, গার্মেন্টস খোলার কারণে দূর থেকে এসেছি। সঙ্গে শিশু সন্তানও রয়েছে। লঞ্চ না থাকায় যাওয়ার কোনো পথ নেই। অফিস থেকে বলেছে, কাজে যোগ দিতে। কিন্তু এমন অবস্থায় গার্মেন্টসে যেতে না পারলে আমাদের চাকরি থাকবে না। সকাল ১১টায় ঘাটে এসে দেখি যাওয়ার জন্য কোনো লঞ্চ নেই। আমরা এখন কীভাবে যাব?

চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা কাউছারুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চঘাট নয়টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসে। আমাদের প্রস্তুতি অনুযায়ী অনেক যাত্রী ঢাকায় গেছে। তবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সবগুলো লঞ্চের প্রস্তুতিও ছিল না। প্রথমে নির্দেশনা ছিল, সকাল ১১টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ার। যার কারণে কিছু যাত্রী আটকা পড়েছেন।

ইউকে/এএস