কান্দাহার বিমানবন্দরে তালেবানের রকেট হামলা

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিদেশি সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থকেই আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান। এ পর্যন্ত তারা শতাধিক জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

সবশেষ খবরে জানা গেছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করার জন্য সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান যোদ্ধারা।

শহর তিনটি হলো- হেরাত, লস্কর গাহ এবং কান্দাহার।

রোববার কান্দাহারের বিমান বন্দরে রকেট হামলা চালিয়েছে তালেবান বাহিনী। এর পর ফ্লাইট চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।

সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল দখল করে নিচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওযা যাচ্ছে, এরইমধ্যে তালেবানরা আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি এলাকা দখলে নিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত চৌকিও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।

হেরাত, লস্কর গাহ এবং কান্দাহার শহরে মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারি বাহিনী শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ কতদিন ধরে রাখতে পারবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।

দেশটির সাধারণ জনগণ এ মুহূর্তে এক ধরনের বেকায়দা অবস্থায় রয়েছে। কারণ একদিকে তালেবানের হামলা অন্যদিকে সরকারি বাহিনীর প্রতিরোধ। এই দুইয়ের মধ্যে পড়ে তাদের নাজেহাল অবস্থা।

হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর গাহের কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে তালেবান যোদ্ধারা। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে এমন দৃশ্যই দেখা যাচ্ছে।

কান্দাহারের জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, শহরটি তালেবানের হাতে চলে যেতে পারে। এরইমধ্যে হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

স্থানীয় এমপি গুল আহমেদ কামিন বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত ২০ বছরে এই শহরে এমন লড়াই হয়নি।

তিনি জানান, কান্দাহার দখল করতে পারলে ওই অঞ্চলের পাঁচ-ছয়টি প্রদেশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

ইউকে/এএস