সেজান জুস কারখানায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে অগ্নিকাণ্ড: সিআইডি

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেজান জুস কারখানায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে ইমাম হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত তদন্ত করে যেটা পেয়েছি তা হচ্ছে কারখানার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আমরা ইতোমধ্যে ৪৮ জনের মধ্যে ৪৫ জনের ডিএনএ শনাক্ত করেছি। আজকে তাদের মধ্য থেকে ২৪ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং ক্রমান্বয়ে বাকিগুলো হস্তান্তর করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ফরেনসিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার।

তিনি বলেন, তিনটি মরদেহের ডিএনএ শনাক্তকরণ এখনো বাকি রয়েছে। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সেগুলো সম্পন্ন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৮টি পোড়া মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার পরে ৪৫টি শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (৪ আগস্ট) মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত ৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারাখানার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৪৮ ঘণ্টা পর আগুন নেভায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরের দিন শুক্রবার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ভেতরে থেকে ৪৮টি পোড়া মরদেহ স্থানীয় প্রশাসন ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ইউকে/এএস