ঢামেক থেকে দুই দফায় ৪৫ মরদেহ হস্তান্তর

বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মরদের মধ্যে আরো ২১ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ২৪টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি)।

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত হস্তান্তর কর্যক্রম শেষ হয়। এই নিয়ে মোট ৪৫ মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।

তিনি বলেন, আগের প্রক্রিয়া অনুযায়ী আজকে ২১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মর্গ সহকারী মো. সেকেন্দার আলী জানান, শুক্রবার বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজারে রাখা ১৫টি মরদেহ নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে। এছাড়া ঢামেকের জরুরিবিভাগের ফ্রিজারে রাখা ৮টি মরদেহ শুক্রবার বিকেলে মর্গে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে বুধবার সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রূপগঞ্জ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৮টি পোড়া মরদেহের শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার মাধ্যমে ৪৫ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৩টি মরদেহ পরিচয় শনাক্ত প্রক্রিয়াধীন।

গত মাসের (৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারাখানার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ৪৮ ঘণ্টা পর আগুন নেভায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরের দিন শুক্রবার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানার ভেতরে থেকে ৪৮টি পোড়া মরদেহ স্থানীয় প্রশাসন ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ইউকে/এএস