বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় আজ সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।
আজ সোমবার (৯ আগস্ট) বাংলায় দেওয়া এ রায়টি প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে ৮৬ পৃষ্ঠার এই রায় লেখা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। আর পুরো রায়টি লেখা হয়েছে বাংলায়।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার (৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওই মামলার রায় লেখা সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এটা প্রকাশ হতে পারে।’
কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় (৭৬ কেজি ওজনের বোমা মামলা হিসেবে পরিচিত) ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন ও একজনের ১৪ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ে নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়। ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য নিম্ন আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স এবং কারাবন্দি আসামিদের করা আপিলআবেদনের ওপর শুনানি শেষে এই রায় দেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা আসামিরা হলেন ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে শিমন খান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমর।
এ ছাড়া মেহেদি হাসান ওরফে গাজী খান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন এবং আনিসুল ওরফে আনিস ও মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানকে দেওয়া ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে কারাবন্দি এই দুজনের এরই মধ্যে সাজাভোগ করা হয়ে গেলে তাঁদের কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। আর নিম্ন আদালতে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সরোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
ইউকে/এএ