বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: জাপান থেকে উপহার হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার পঞ্চম ও শেষ চালান আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় পৌঁছচ্ছে।
বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার এই চালান এসে পৌঁছনোর কথা রয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাতে নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার চালানটি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।
নারিতা বিমানবন্দর থেকে গতকাল ওই টিকার চালান বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর সময় সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দীন আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রতি অব্যাহত সহযোগিতার জন্য দূতাবাস জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস ফেসবুক পেজে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, অল নিপ্পন এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটযোগে গতকাল ওই চালান রওনা হয়েছে। এই চালানে জাপানে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-কোভ্যাক্স কাঠামোর আওতায় ওই টিকা ঢাকায় পৌঁছার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জাপানের টিকা সহায়তার পরিমাণ ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ দূতাবাস একে বাংলাদেশের প্রতি জাপান সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে অভিহিত করেছে।
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, এ সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজারের ১০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। বিভিন্ন উৎস থেকে নিয়মিত টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকার একটি চালান আগামী সোমবারের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় জার্মানি টিকা ফেলে দিচ্ছে- এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ধনী দেশগুলো সব টিকা নিয়ে বসে আছে। ব্যবহারও করতে পারে না। ফেলে দিচ্ছে। এটি কী ধরনের নৈতিক মূল্যবোধ?’
ড. মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা তাদের (পশ্চিমাদের) কথায় হৈচৈ করেন। তারা মানবাধিকারের কথা বলেন। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন নয়? লোকে পাচ্ছে না আর তারা ফেলে দিচ্ছেন।’
টিকাকে ‘মানুষের সম্পদ’ হিসেবে গণ্য করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবান উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাইডেন সাহেব (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন) মুখে বলেছেন। আর কাজে অন্য রকম। সব ইউরোপীয় দেশ এক সুরে টিকা পাওয়ার (টিকার পেটেন্ট উন্মুক্ত করার) বিরুদ্ধে।’
ইউরোপীয় দেশগুলো বাংলাদেশকে টিকা দেয়নি কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কিছু দিয়েছে, কিন্তু খুব সামান্য। তারা সারা দিন উপদেশ দিয়ে বেড়ায়। এখন টিকার ক্ষেত্রেও তাদের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’
ইউকে/এএস