বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, জাতির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জমি কমে যাচ্ছে। প্রতিবছর ২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে।
এদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য খাদ্যের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে চাই। জনসংখ্যার সঙ্গে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। ২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি হবে। ২০ কোটি মানুষের আয় বাড়বে। মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য চাহিদাও বাড়বে। খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডাবলিং রাইস প্রডাক্টিভিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্ট্র্যাটেজিক পেপার উপস্থাপন ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আমাদের উৎপাদন দ্বিগুণ করবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলাম খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। আমরা ২০১৩-১৪ সালের দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি।
তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোনো কোনো বছরে খাদ্য উৎপাদনের পরিবেশ অনুকূলে থাকে না। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় কৃষি অবশ্যই সিজনাল ও এরিয়া বেজ সেক্টর। কৃষি মৌসুমের ওপরে নির্ভর করে। আমরা রাতারাতি কিছু করতে পারি না। কৃষিতে সাসটেইন করা কঠিন। আমন জাতের ধানের, দিন শেষ না হলে ফুল আসে না। আর ফুল না এলে ধান সংগ্রহ করা যায় না। এটাই হলো কৃষি। কাজেই আমরা যোগ্যতা অর্জন করেছি। এমন বিভিন্ন জাতের ধান, চাষাবাদের ব্যবস্থা ও সেচের ব্যবস্থা করেছি। ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না। এ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমরা দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
ইউকে/এএস