ক্রীড়া বিভাগ: মাঠে নামলেই রেকর্ড গড়েন। না নামলেও রেকর্ড গড়েন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই ৩৬ বছর বয়সেও গোল করার ক্ষেত্রে তরুণদের চেয়েও যোজন যোজন এগিয়ে তিনি। একের পর এক নতুন কীর্তিতে ক্যারিয়ারকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছেন যেখানে নিত্যদিন মাঠে নামলেই নতুন কোনো রেকর্ডে লেখা হয় তার নাম। যেমনটা হলো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন আসরের প্রথম ম্যাচেই।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সুইস ক্লাব ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে নেমেছিলেন রোনালদো। আর এতেই হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ১৭৭টি ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
তবে রেকর্ডটি তার একার নয়। রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি স্প্যানিশ গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস অবসর নেয়ার আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলেছেন ১৭৭ ম্যাচ। মঙ্গলবার সেই রেকর্ড ছুঁয়েছেন রোনালদো। পরের ম্যাচেই ক্যাসিয়াসকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি।
এই রেকর্ডছোঁয়া ম্যাচে গোল করে আরও দুই রেকর্ডে নাম তুলেছেন তিনি। ম্যাচের ১৩ মিনিটের সময়ই স্কোরশিটে নাম তোলেন রোনালদো। যার সুবাদে চ্যাম্পিয়নস লিগে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হয় ১৩৫টি। চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড আগে থেকেই তার। তবে ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে গোলটি করার মাধ্যমে প্রথম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ভিন্ন দুই আসরের প্রথম গোল করার রেকর্ড গড়েছেন রোনালদো। এর আগে ২০০৯-১০ আসরে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে করেছিলেন আসরের প্রথম গোল। সেদিন এফসি জুরিখকে ৫-২ গোলে হারায় রিয়াল।
এর বাইরে লিওনেল মেসির একটি রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন রোনালদো। এতদিন ধরে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ৩৬টি দলের বিপক্ষে গোলের রেকর্ড ছিলো মেসির একার। মঙ্গলবার ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে গোল করার মাধ্যমে ৩৬টি ক্লাবের বিপক্ষে গোলের রেকর্ড গড়েন রোনালদোও।
ইউকে/এএস