বগুড়ায় শালিস নিয়ে বিরোধে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া সংবাদদাতা: বগুড়ার সদর উপজেলায় শালিসে জরিমানার টাকা আদায় করা নিয়ে বিরোধে হাসান সরকার (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত হাসান বগুড়া সদর উপজেলার পালশা সরকার পাড়ার মৃত সামছু সরকারের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসানকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

নিহত হাসানের ছেলে জাকির সরকার মৃদুল জানান, তার স্বামী পরিত্যাক্তা চাচাতো বোনের সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের পরকীয়া সস্পর্ক ছিল। তাদের আপত্তিকর একটি ছবি একই এলাকার রুপম নামের এক যুবক হাতে পায়। এরপর থেকে রুপম তার বোনের সঙ্গে সস্পর্ক করতে চায়। কিন্তু বোন রাজী না হলে রুপম ওই ছবি ছড়িয়ে দেয়।

মৃদুল আরও বলেন, তার বোন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানীর শো-রুমে চাকরি করতেন। সেখানেও ছবিগুলো পাঠানো হয়। এতে তার বোনের চাকরি চলে যায়। পরে তার বাবা হাসান সরকার স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরের কাছে নালিশ করেন। কয়েকদিন আগে পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম এলাকায় শালিস বসিয়ে রুপমকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ হাজার টাকা জরিমান করেন। তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা না দিলেও শালিস মেনে নিয়ে টাকা পরে দিবে বলে জানায় রুপম।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় চারমাথা ভবেরবাজার এলাকায় মেহেরা পাম্পের সামনে শালিসের জরিমানার টাকা নিয়ে রুপমের সঙ্গে হাসানের তর্ক বিতর্ক হয়। এরপর হাসান হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রুপম ধারালো অস্ত্র নিয়ে পেছন থেকে হামলা করে হাসানের মাথায় এলোপাথারি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। হামলার পর নিহতের ছেলে জাকির মামলাও করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই রুপম পলাতক রয়েছে। তাকে আটকে চেষ্টা চলছে।

ইউকে/এএস