নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর ঘোষপাড়ায় মায়া রানি ঘোষ নামে অবসরপ্রাপ্ত এক প্রধান শিক্ষক খুন হয়েছেন। ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকারও লুট হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। ওই নারী বাড়িতে একাই বসবাস করতেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একই এলাকায় বসবাস করা পালিত মেয়ে পুতুল রানি মায়ের খোঁজ নিতে এসে দেখেন গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় নিথরদেহ পড়ে আছে। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ওই বাড়িতে ছুটে যান। মায়া সর্বশেষ রাজশাহী মুন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবসরে যান।
খবর পেয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি সদস্যরা ঘটনাস্থকে যান। এখন তারা যৌথভাবে এ ঘটনার রহস্য উন্মোচনের জন্য তদন্ত শুরু করেছেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি) সাজিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীর গহনা ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে, বিষয়টি তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
তিনি বলেন, মায়া ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। সকালে বৃদ্ধা গৃহকর্মী হেনা ঘোষ বাড়িতে এসে মায়াকে চা বানিয়ে দিয়ে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মায়ার পালিত মেয়ে পুতুল ঘোষ শ্বশুরবাড়ি থেকে মায়ার বাড়িতে আসেন। এ সময় একটি ঘরের মেঝেতে মায়ার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
এদিকে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ জানান, ওই বাড়িতে স্বর্ণালঙ্কারের পাশাপাশি শিক্ষক মায়ার মোবাইলটিও পাওয়া যায়নি।
এজন্য ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে হত্যার পর এসব লুট করে নিয়ে গেছে। বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহের পর এরই মধ্যে অপারাধী শনাক্তে ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতির পর মায়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
ইউকে/এএস