নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও যুব নারীদের সরকারী বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে জানাতে এবং তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্য চেয়ে আবেদন করার জন্য তাদেরকে উৎসাহী করতে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে এবং দ্যা কার্টার সেন্টারের সহযোগীতায় এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এই বুথ ক্যাম্পের আয়োজন করে।
বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা নিবার্হী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ এবং সভাপতিত্ব করেন ৪নং সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক।
শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসিডির ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরীনা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানোর উপজেলা নিবার্হী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এই ধরণের ক্যাম্পের মাধ্যমে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনগন সাম্যক ধারণা পাবে। সেই সাথে এলাকার প্রান্তিক জনগণের তথ্য অধিকার প্রাপ্তির পথ সুগম হবে। ফলে তারা তাদের নায্য অধিকার সম্পর্কে আরো সচেতন হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের ইউনিয়নে অনেক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাস। এই জনগোষ্ঠীর নারীরা তাদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার সম্পর্কে তুলনামূলক পিছিয়ে। তিনি মনে করেন, এই বুথ ক্যাম্পের মাধ্যমে আমাদের এলাকার প্রান্তিক নারীরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে এবং তথ্যপ্রাপ্তি ও সরকারী সেবাসমূহ সম্পর্কে ধারনা লাভে সক্ষম হবে।
তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হোসেন খান বলেন, প্রান্তিক নারীদের অধিকার নিশ্চতকরণে এই ধরণের বুথ ক্যাম্প বিশেষ ভূমিকা পালন করবে, বলে আমি মনে করি। আমাদের উপজেলায় যে ধরনের সেবা সমূহ রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জানতে এই ক্যাম্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বুথ ক্যাম্প অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, তানোর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান, তানোর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হোসেন খান, তানোর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিল্লাল হোসেন, তানোর উপজেলা তথ্য আপা মৌসুমী খাতুন, তানোর উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা একিণ আলী, দ্যা কার্টার সেন্টার এর মনিটরিং, ইভ্যালুয়েশন এ্যান্ড লার্নিং অফিসার শাহরোজ এনাম, সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এবং সরনজাই ও চান্দুরিয়া ইউনিয়নের এলাকাবাসী।
ইউকে/এসএস