বার্তাকক্ষ প্রতিবেদন: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০২২ সালে কিছু মেগা প্রকল্প উদ্বোধন হবে। বিএনপি নেতারা সেই সময় চোখে সর্ষে ফুল দেখবে। বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতি বড় জটিল। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়। মানুষ এখন চরিত্রবান লোককে ক্ষমতায় দেখতে চান। তিনি হলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প কে? বিএনপি নেতাদের কাছে এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, টেমস নদীর ওপারে থেকে একজন পলাতক আসামিকে নেতা নির্বাচন করলে জনগণ তা মেনে নিবে না।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা অনেকেই বলেন মূল্যায়ন হয়নি, কিছু পায়নি। এ ধরনের হাহাকার শুনতে পাই। একটু বঙ্গবন্ধু পরিবারের দিকে চেয়ে দেখুন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন কীভাবে এ পরিবার চলেছে। কীভাবে বেগম মুজিব একটা পরিবারকে আগলে ধরেছেন। সেই ইতিহাস পড়ুন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। সততার রাজনীতির বিরল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু পরিবার। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
আন্দোলন করে সরকার হঠানোর দিবাস্বপ্ন দেখছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতের মতো যদি আগুন সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করা হয় তাহলে বিএনপি আবারও পিছিয়ে যাবে।
‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিময় রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখনো ষড়যন্ত্রের বুলেট তাঁর পিছু ছাড়েনি। তবুও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অকুতোভয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে।
সততার রাজনীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু পরিবার জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর ছেলেমেয়েদের দিয়ে বিকল্প কোনো পাওয়ার হাউজ সৃষ্টি করেননি। বঙ্গবন্ধু পরিবার থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. মির্জা আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব ফরিদুন্নাহার লাইলী।
ইউকে/এএস