র‍্যাব পরিচয়ে জাবি শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

জাবি সংবাদদাতা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী বনি আমিন ফকিরকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪) পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জাবি ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া এলাকার একটি মেস থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই শিক্ষার্থীর বন্ধুরা জানান, র‌্যাব পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এসে তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যেতে চান। এইসময় তারা কারণ জানতে চাইলে র‌্যাব সদস্যরা আইডি কার্ড দেখিয়ে জানায় বনি আমিনের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আচরণ সন্দেহজনক। তাকে নিয়ে যেতে বাধা দিলে র‌্যাব সদস্যরা তাদেরকে মারতে আসেন। যাওয়ার সময় তারা বনী আমিনের কক্ষ থেকে একটি পুরাতন ডেস্কটপ কম্পিউটার নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই মেসের আরেক শিক্ষার্থী তন্ময় বলেন, র‌্যাব-৪ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন মেসে ঢুকে তাদের আলাদা একটি কক্ষে রেখে বনি আমিনের কক্ষে তল্লাশি চালান। এরপর বনি আমিনকে গাড়িতে তোলেন। আমরা তাদের বাধা দিয়ে পরিচয় জানতে চাই এবং প্রক্টর বা প্রভোস্টকে জানিয়ে নিতে বলি। কিন্তু তারা কারও সঙ্গে কথা না বলে, আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৪-এর কমান্ডিং অফিসার মোজাম্মেল হক বলেন, আমি এ ব্যাপারে এখনো কিছু জানি না। পরে জানাব।

এদিকে ঘটনাস্থলে আশুলিয়া পুলিশের একটি দল পরিদর্শনে এসেছেন। তারা জানিয়েছেন, র‌্যাব-৪-এ খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করছেন বনি আমিনকে কোথায় নেয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, বিষয়টি জানার পর আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানিয়েছেন। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালে ‘জঙ্গি সম্পৃক্ততার’ অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইব্রাহীম আদহাম নামের এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছিল পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যরা। এছাড়া এ বছরের জুনে রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রাজু ঢাকার মিরপুর ডি ব্লকের ৬ নম্বর সেকশনে বন্ধুদের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৪ জুন রাতে এশার নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরবর্তীতে তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়লে পুলিশ জানায় তিনি ‘নব্য জেএমবির বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর’। তার নাম জাহিদ হাসান ওরফে বোমা জাহিদ ওরফে রাজু ওরফে ফোরকান ভাই।

ইউকে/এএস