গোদাগাড়ীতে ভোটকেন্দ্রে যেতে জামায়াত নেতাদের বারণ!

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌরসভায় আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য উপ-নির্বাচনে সাধারন ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে জামায়াত নেতারা নিষেধ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জামায়াত নেতাদের সরকার বিরোধী এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোদ তাদের দলেরই নেতা কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। ফলে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে প্রশাসনের জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ কামনাসহ নজর দারির ব্যাপারে জোরালো দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, চলতি বছরেই গোদাগাড়ী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আ”লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম বাবু মেয়র নির্বাচিত হন। কিন্তু তার মৃতু হলে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে তফসিল দেওয়া হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামী মাসের ৭ অক্টোবর মেয়র পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এই উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস, বিএনপির স্বতন্ত্র গোলাম কিবরিয়া রুলু মোবাইল ফোন প্রতীকে প্রয়াত মেয়র বাবুর সহধর্মিনী জান্নাতুল ফেরদাউস নারিকেল গাছ ও জামায়াতের স্বতন্ত্র সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম জগ প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে বিরামহীন প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমানে উৎসব মুখর পরিবেশে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানাভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।কিন্তু জামায়াতের সাংগঠনিক পশ্চিম জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল খালেক, গোদাগাড়ী পৌর আমীর আনারুলসহ বেশকিছু নেতারা রাতের আধারে তাদের সমর্থিত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে কোনভাবেই যাওয়া যাবেনা বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন। যার কারণে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এক প্রকার বিভ্রান্তিমূলক অবস্থার সৃষ্টি করেছেন কতিপয় জামায়াত নেতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জামায়াত নেতারা জানান, মূলত ‘জগ’ প্রতিকের প্রার্থী সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম নির্বাচনী মাঠে থাকার কারণেই জামায়াতের কিছু নেতা সহ্য করতে পারছেনা। তারা নিজেরাই আজীবন দলের পদে থাকতে চান। এজন্যই জামায়াত সমর্থিত ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে নির্দেশনা দিচ্ছেন, যা গণতন্ত্রের বা নির্বাচনের জন্য হুমকি। নির্বাচন কমিশন সব সময় বলে আসছে ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। কিন্তু জামায়াতের জেলা আমীর পৌর আমীরসহ কয়েকজন  নেতা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা শুরু করেছেন।

তবে রাজশাহীর গোদাগাড়ী জামায়াতের পৌর আমীর আলহাজ্ব আনারুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ‘ভোট দেওয়া প্রতিটি নাগরিকের অধিকার কেন নিষেধ করব’।

এদিকে, জামায়াতের সাংগঠনিক পশ্চিম জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল খালেকও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা বা ভোট দিতে নিষেধ করা এসব মিথ্যা কথা। এগুলো অপপ্রচার বলেও দাবি করেন- এই জামায়ত নেতা।

ইউকে/এসএইচ/এসএম