লাইফস্টাইল বিভাগ: ‘এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সঙ্গে সকাল-বিকেল বেলা, কত পুরনো নতুন পরিচিত গান গাইতাম গলা খুলে। কত এলোমেলো পথ হেঁটেছি দু’জন, হাত ছিল না তো হাতে’। সায়ানের কন্ঠের এই গানটি ছোট থেকে বড় হওয়া সময়ে জীবনে নানা সময়ের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের কথা মনে করিয়ে দেয় তাই না?
জীবনের প্রথম ঘরের বাইরে পা রেখেই যে অচেনা পরিবেশে, এতদিনের চেনাজানা মানুষের বাইরে স্কুলের আঙিনায় অন্য এক জগতের ছোট ছোট কিছু মুখ আপন হয়ে ওঠে একে অপরের, সেই সম্পর্কের নাম বন্ধুত্ব। সময় গড়িয়ে হাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও নানা ক্ষেত্রে এই বন্ধুত্বের পরিধিটা বাড়তে থাকে।
আবার জীবনের নানা সময়ে নানা কারণে সেই প্রিয় বন্ধুটা হারিয়েও যায় আমাদের জীবন থেকে। তবে সেই বন্ধুটির জন্য বুকের ভেতরের যে শূন্যতা যে হাহাকার তা চলতেই থাকে কোনো সুন্দর অথবা বৈরি সময়ে। এমনটা হয়তো বা দুইপ্রান্তেই ঘটতে থাকে।
আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুটিকে খুঁজেও পাচ্ছেন। আর এমন আনন্দঘন মুহূর্ত আরও বাড়িয়ে তোলা এবং বন্ধুদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিতে কাজ করছে ফেসবুক গ্রুপ ‘ক্লাব ৯৪’ । এই প্ল্যাটফর্মটির দুই বছর পূর্ণ হলো ২৯ সেপ্টেম্বর।
সারাদেশের ১৯৯৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একঝাঁক সক্রিয়, প্রাণবন্ত এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ শিক্ষার্থীকে নিয়ে এর যাত্রা শুরু ২০১৯ এর ২৯ সেপ্টেম্বর। আর এখন এর সদস্যসংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার। আর যার লিডারশিপ এবং যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এ প্লাটফর্মটি গড়ে উঠেছে সে হচ্ছে, এই ক্লাবের প্রিয় মুখ সারোয়ার মোর্শেদ। এছাড়াও প্রায় ২৪ হাজার সদস্যের সক্রিয় সহযোগিতায় এই গ্রুপটি আনন্দ, বিনোদন ছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা ও বন্ধুর প্রতি দায়বদ্ধ থেকে একে অপরকে নানান সমস্যায় সহযোগিতা করে আসছে। কখনও মেডিক্যাল সাপোর্ট, রক্তদান, আর্থিক সহযোগিতাসহ নানা সমস্যায় বন্ধুরা পাশে দাঁড়াচ্ছে একে অপরের।
ক্লাব-৯৪ গঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে অ্যাডমিন সারোয়ার মোর্শেদ বলেন, ‘ক্লাবের সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়ন সাধন করা। এই প্লাটফর্মের লক্ষ্য কেবল শুধু বন্ধুত্ব, মজা করার জন্য নয় বরং সমাজের সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এছাড়াও সকল সদস্যের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সামাজিক যোগাযোগ স্থাপন করা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের সময় সুচিন্তিত এবং মূল্যবান পরামর্শ ও সুপারিশ চাওয়া, তহবিল সংগ্রহ (সত্যিকারের প্রয়োজনের জন্য), বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সদস্যদের নিজ নিজ সক্ষমতা অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব সদস্যদের একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করা। ’
মহামারি করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২৯ সেপ্টেম্বর এই প্ল্যাটফর্মের দুই বছর পূর্তিতে অনলাইনেই বন্ধুদের নিয়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে।
ইউকে/এএস