রাজশাহীতে সন্তানদের নিরাপত্তার আকুতি ব্যাংক কমকর্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আমি কর্মজীবী নারী। বর্তমানে দুই সন্তান নিয়ে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। আমাদের সহায়তা করুন। আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’ রাজশাহী সোনালী ব্যাংক গ্রেটার রোড শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার তাসমীন এহসান আজ রোবাবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে মানবাধিকার সংগঠন পরিবর্তন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আকুতি জানান।

তার স্বামী বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ সার্কেল চট্টগ্রাম শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। স্বামী এসএম মশিউর রহমানের নির্যাতনের শিকার এই নারী জানান, গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আমাকে বেদম মারপিট করে। কাপড় আইরন করা ইস্ত্রি দিয়ে আমার হাত পুড়িয়ে দেন। দুই দিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে চিকিৎসা গ্রহণ করেছি। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় মামলা দায়ের করেছি।

আর এরপর থেকে তার স্বামী তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তার মহানগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় যে বাড়িতে বসবাস করেন সেখানে নানাভাবে হয়রানি করছে। বাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে লোক পাঠাচ্ছে। তার স্বামী একজনের স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন। তাকে তালাক দেওয়ার আগেই সে এই বিয়ে করেন।

এ ঘটনায় তার স্বামী অগ্রণী ব্যাংক আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এসএম মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার বিষয়ে তার কর্মস্থলে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তারাও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ সময় তিনি এবং তার দুই সন্তানের নিরাপত্তার জন্য দাবি জানান। একই সাথে আসামির কর্মস্থল অগ্রণী ব্যাংক থেকে তাকে সাসপেন্ড করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে এসএম মশিউর রহমান বলেন, তিনি চট্টগ্রামে থাকেন। গত ১৭ মার্চ তাদের তালাক কার্যকর হয়েছে। তবে তার সন্তানরা যেহেতু তার বাড়িতে রয়েছে সে কারণে তিনি এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। এছাড়া তিনি কোনো হুমকি-ধামকি দেননি বলেও জানান।

ইউকে/এএস